জাফলংয়ে আরও ১৮ ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করল টাস্কফোর্স

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পুনরায় অভিযান চালিয়ে ১৮টি পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবির। উপজেলা প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রশাসন জানায়, তৃতীয় দফায় রোববার (২৯ জুন) এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৮টি পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এর আগে, ১৮ও ২৫ জুন দুইবার জাফলংয়ে অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। অভিযানে প্রথম দফায় ৬৭টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৭৭ টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবির বলেন, 'পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশবিধ্বংসী এসব অবৈধ স্থাপনা ও কার্যক্রমের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগ জৈন্তাপুরের আবাসিক প্রকৌশলী সজল চাকলাদার, গোয়াইনঘাট সাব জোনের এজিএম মো. শহিদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার এসআই ওবায়দুল্লাহ, বিজিবির সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহীদুল ইসলামসহ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গেলো ১৪ জুন প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) জাফলং পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়া হবে না বলে জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অন্যদিকে অবৈধ পাথরের ব্যবসা ঠেকাতে দ্রুততার সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন পাথর ভাঙার মেশিনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। দুই উপদেষ্টার এমন নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।