পাগলা মসজিদে সাড়ে ৪ ঘণ্টার গণনায় মিলেছে ৬ কোটি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ১০টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও একটি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। সাড়ে চার ঘণ্টা গণনার পর এসব বাক্স ও ট্রাঙ্ক থেকে পাওয়া গেছে ৬ কোটি টাকা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে এসব দানবাক্স খোলা হয়।
এই ট্রাঙ্ক ও বাক্সগুলো তিন মাস ১৪ দিন পর খোলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার তৈরি ১০টি দানবাক্স সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এক এক করে খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। বস্তা থেকে টাকাগুলো ঢেলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় গণনার কাজ।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণনা করে মোট ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এবার তিন মাস ১৪ দিন পর খোলা হয়েছে। টাকা গণনায় এবার পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১৩০ জন ছাত্র, জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ১৫৫ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৬ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ২০ জন পুলিশ, ৫ জন র্যাব ও জেলা প্রশাসন থেকে ২০ জন কাজ করছেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দান সিন্দুক খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২৮ বস্তা টাকা। তখন দিনভর টাকা গণনা শেষে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রুপার গহনাসহ বৈদেশিক মুদ্রা। ধারণা করা হচ্ছে, গতবারের তুলনায় এবার টাকার পরিমাণ বাড়বে।