গাজায় ইসরায়েলের পক্ষে হামলার অভিযোগে ১০ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা

গাজায় ইসরায়েলের পক্ষে হামলার অভিযোগে ১০ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা

অবরুদ্ধ গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবীরা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ার ক্রাইম ইউনিটের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত ২৪০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী মাইকেল ম্যান্সফিল্ড।

এই অভিযোগপত্রটি পেশ করেছে গাজাভিত্তিক প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাবলিক ইন্টারেস্ট ল’ সেন্টার (পিআইএলসি)। সংস্থা দুটি গাজা ও যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে এই মামলা করছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলি নাগরিকও। এদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণকর্মীদের হত্যা, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান ধ্বংস, এবং সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ থেকে জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে—যা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিচারযোগ্য। তাদের হামলা ছিল সংগঠিত, পরিকল্পিত এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত ও আইনি কারণে অভিযুক্তদের নাম গোপন রাখা হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় স্বজন হারানো একজন প্রত্যক্ষদর্শী পিসিএইচআরের কাছে বলেন, আমি যা দেখেছি তা সহ্য করার মতো নয়। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল মৃতদেহ।

ম্যান্সফিল্ড বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ব্রিটিশ নাগরিকদের যোগদান নিষিদ্ধ করতে পারে। অতীতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি কোনো সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে যুদ্ধ পরিচালনা করে, তবে তাতে যোগদান করাও বে-আইনি। বিশ্বের বহু দেশ এই পরিস্থিতি নিয়ে নীরব, বরং অনেকেই উল্টো ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। এই নিষ্ক্রিয়তা ভয়াবহ।