বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরকালে এই আলোচনা হবে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশ নেবেন। তার মানে বৈঠকটি খুবই উচ্চমানের এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে গ্রহণে সক্ষম। সেখানে রাজস্ব ও মুদ্রানীতি, স্বাস্থ্য ও আর্থিক ব্যবস্থা, তৈরি পোশাক খাত, ঋণ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলের মূল্যায়ন ও পরামর্শ অন্তর্বর্তী সরকার তার নীতি-নির্ধারণে যোগ করতে পারে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ প্রথম উচ্চপর্যায়ের আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলে দেশটির অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন। বাংলাদেশের পক্ষে সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্রমান্বয়ে আলোচনা করবে প্রতিনিধিদল।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা করে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা ও ভবিষ্যতে অধিকতর সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী। আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পৃক্ততা, যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেবে। আর্থিক খাতের গভীর সংস্কার, দুর্নীতি হ্রাস ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চায়, তার প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।


এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বলেন, তারা অল্প সময়ের জন্য আসছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করব, তাদের সঙ্গে যে বিষয়গুলো আছে, সেটাকে এগিয়ে নেওয়ার।