ন্যাটোকে সতর্ক করলেন এরদোয়ান

ন্যাটোকে সতর্ক করলেন এরদোয়ান

আবারও গর্জে উঠলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট ন্যাটোকে রাখঢাক না রেখেই সতর্ক করলেন তিনি।

ইসরায়েল ইস্যুতে এমনিতেই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তেতে রয়েছেন এরদোয়ান। এরই মধ্যে এ সামরিক জোটের কর্মকাণ্ড এরদোয়ানের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুক্রবার (১২ জুলাই) জোটের হয়ে ইসরায়েলকে সাফ কথা বলে দিয়েছেন এরদোয়ান।

রাজনীতির ময়দানে কয়েক দশক কাটিয়ে দেওয়া এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠছেন। মুসলিম বিশ্বের যেকোনো ইস্যুতে তাকে গর্জে উঠতে দেখা যায়। শুক্রবারও এরদোয়ানের এমনই এক রূপ দেখল পশ্চিমারা। এ দিন তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রশাসনের সঙ্গে ন্যাটোর অংশীদারত্ব আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এ জোটে পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ অন্তত তিনটি দেশ রয়েছে। শুক্রবার সে জোটের সম্মেলন মঞ্চে দাঁড়িয়েই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ব্যাপক, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ন্যাটোর মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার প্রচেষ্টা অনুমোদন করবে না তুরস্ক। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি প্রতিবেশী সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জোর দিচ্ছেন এরদোয়ান। ন্যাটোর সম্মেলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে কথাই বললেন তিনি। এরদোয়ান জানান, সিরিয়ার সঙ্গেিআবারও সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গেল সপ্তাহে এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে যেকোনো সময় আমন্ত্রণ জানাবেন।

কয়েক মাস আগেও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের টানাপোড়েন চলছিল। তবে সুইডেনকে ন্যাটোভুক্তির ব্যাপারে তুরস্ক আপত্তি প্রত্যাহারের পর আঙ্কারার জন্য এফ-16 যুদ্ধবিমান কেনার পথ পরিষ্কার হয়েছে। এরদোয়ান জানান, তিনি এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি। নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে মার্কিন এ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইছে তুরস্ক।

ন্যাটোর সদস্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ব্লকের সঙ্গেও তুরস্ক সমানতালে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সামরিক জোটের সম্মেলনে সে কথাও উল্লেখ করেছেন এরদোয়ান। তিনি জানিয়েছেন, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে পর্যবেক্ষক হিসেবে নয়, বরং স্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দিতে চায় তুরস্ক। এসসিও একটি নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট। ২০০১ সালে রাশিয়া, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো পশ্চিমা শক্তিকে টক্কর দিতে এ জোট গঠন করে।