রেকর্ড ছাড়াচ্ছে সিলেটের তাপমাত্রা
সিলেটজুড়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে দেশের উত্তরপূর্বের এই জনপদের তাপমাত্রা। শুক্রবার দুপুর ৩ টায় সিলেটের তাপমাত্রা ছিলো ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ।
এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাপমাত্রার পারদ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ ছিলো। একদিন পরই সে রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়।
তাপমাত্রা বাড়ায় বেড়েছে গরমও। গত তিন চারদিন ধরে টানা গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা রয়েছেন কষ্টে।
এর আগে গত ১৬ মে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তখন সেটিই ছিলো মৌসুমের সর্বোচ্চ। এরপর থেকেই ধারাবিহকভাবে বেড়ে চলছে তাপমাত্রা।
সিলেটে গত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। মাঝখানে সোমবার বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। আবারও বেড়ে যায় তাপমাত্রার পারদ। গরমের সাথে যুক্ত হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটবাসী। শুক্রবার অফিস-আদালত ও স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সড়কে বের হননিেতেমন কেউ। ফলে দুপুর পর্যন্ত নগরের সড়কগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। তবে গরম ও লোযশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকাও দায় হয়ে উঠেছে।
নগরের শিবগঞ্জ এলাকার গৃহিনী তাসনিম আক্তার বলেন, বাচ্চার স্কুল বন্ধ থাকায় আজ বাইরে বের হতে হয়নি। কিন্তু রান্নাবান্না তো করতে হচ্ছে। এই গরমে ঘরে বসে থাকাই দায় আর চুলার কাছে গেলে তো মনে হয় শরীরে আগুন ধরে যাচ্ছে। এরমধ্যে কিছুক্ষণ পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ফলে ঘরে থাকারও উপায় নেই।
নগরের কিনব্রিজ এলাকায় রিকশা থামিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক কায়সার আহমদ। তিনি বলেন, শীত গরম বৃদ্ধি সবসময়ই মোদেরিরিকশা নিয়ে বের হতে হয়। না হলে খাওয়া জুটবে না। কিন্তু এই গরমে রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই কিছুক্ষণ পরপর ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, দেশে সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুনে গরম বেশি থাকে। এই সময়ে গরম কিছুটা কমে বৃষ্টি হলে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।