সুনামগঞ্জের নদীতে বাড়ছে পানি, আতঙ্কিত মানুষ
পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা. সীমান্তবর্তী যাদুকাটা, চেলাসহ জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওর বাওরে প্রবেশ করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার কথা স্মরণ করে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই সর্তক থাকতে বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানগন মাইকিং করছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টিপাতের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে বিপদসীমা থেকে অনেক নিচে আছে সুরমা নদীর পানি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৬ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষা মওসুমে বিপৎসীমা হলো ৭ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার।
তিনি আরো জানান,আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে পানি আরো বাড়তে পারে। সুরমা নদীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কাও আছে বলে জানান তিনি।
তাহিরপুর উপজেলা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ জামান জানান,আমাদের উপজেলার প্রতিটি নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে হাওরে পানি না থাকায় এখন সেই পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। তবে হাওর পাড়ের বাসিন্দাসহ সবাইকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পক্ষ থেকে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী।
এদিকে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে,রোদও উঠেছে। তাই বন্যা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানায়,চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ চলছে। ওই এলাকায় ৬৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভারী বর্ষণ পাহাড়ি ঢল হয়ে ভাটিতে এসে চাপ তৈরি করছে। ফলে নদ নদীর পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্ট ৩৫ সেন্টিমিটার (প্রায় ১৪ ইঞ্চি), সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার (প্রায় ৩২ ইঞ্চি), দিরাই পয়েন্টে ১৩৭ (প্রায় ৫৪ ইঞ্চি) এবং যাদুকাটা নদীর পানি শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে ১৭৫ সেন্টিমিটার (প্রায় ৬৮ইঞ্চি) বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এক কথায় সুনামগঞ্জ জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও পানি বাড়তে শুরু করেছে।