সিলেটের মাঠে খুলনার জয়রথ থামালো বরিশাল

সিলেটের মাঠে খুলনার জয়রথ থামালো বরিশাল

একের পর এক ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা খুলনা টাইগার্সকে অবশেষে মাটিতে নামিয়ে আনলো ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে শেষ ওভারে গিয়ে রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নিয়েছে তামিম বাহিনী। সিলেটে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার দেয়া ১৫৬ রান তাড়ায় নেমে শোয়েব মালিক ও মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারালেও ১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ বরিশালের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৯৪ রান। শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬২ রান। কিন্তু এরপর আক্রমণে এসে ম্যাচ কঠিন করে তোলেন দাসুন শানাকা, ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তিন পেসারের তোপে ১৫, ১৬ ও ১৭তম ওভারে ১৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। সঙ্গে হারাতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট। তাতে শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৪৬ রান। ১৮তম ওভারে আক্রমণে আসা ফাহিমের ওভারেও তোলা যায়নি ৯ রানের বেশি। তাতে ম্যাচ অনেকটাই খুলনার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। কিন্তু শেষদিকে মিরাজ ও শোয়েব জ্বলে উঠে জয় ছিনিয়ে নেন। ওয়াসিমকে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৯তম ওভারে ১৯ রান তুলে নেন মিরাজ ও শোয়েব। তাতে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৮ রান। বল করতে আসা শানাকাকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মিরাজ। পরের বলে আদায় করে নেন সিঙ্গেল। এরপর টানা দুই বলে চার ও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে নেন শোয়েব। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব আর ১৫ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বরিশালের। ৩ বলে শূন্য রানে আহমেদ শেহজাদ আর ১৮ বলে ২০ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল। ১৩ রানে জীবন পাওয়া সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং ছিল না টি-টোয়েন্টি সুলভ। ২৫ বলে ২৭ রান করে নাসুম আহমেদের শিকার হন তিনি। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো ১৬তম ওভার হজম করে ম্যাচই ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। ৯ বলে এদিন ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে শেষদিকে ঝড় তুলে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছেন মিরাজ ও শোয়েব। ৪ ওভার বল করে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফাহিম ও মোহাম্মদ নেওয়াজের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ১৬ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান করা দলকে শেষ ২৪ বলে ৬২ রান এনে দেন ফাহিম-নেওয়াজ। লড়াকু পুঁজি এনে দেয়ার পথে নেওয়াজ ২৩ বলে ৩৮ আর ফাহিম ১৩ বলে ৩২ রান করেন। বরিশালের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাইজুল। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন মালিক। এদিকে টানা চার জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেল খুলনা। অন্যদিকে টানা দুই জয়ে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকল বরিশাল।