ম্যানচেস্টারে ফুটবলার চুন্নু

জাস্ট হেল্প ইউকে'র পক্ষে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড প্রদান 

জাস্ট হেল্প ইউকে'র পক্ষে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড প্রদান 

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও আবাহনী ক্রীড়াচক্রের সাবেক কৃতি ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশ ফুটবলের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে তিনি সর্বদা কাজ করে যাবেন। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী ফুটবলার রয়েছে। সঠিক ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে এসব মেধাবীদের তুলে আনা সম্ভব। ফুটবলকে শুধু রাজধানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা দেশের গ্রাম-গঞ্জ, জেলা-উপজেলা ছড়িয়ে দিতে হবে। সেজন্য আন্তজেলা, আন্তস্কুল, আন্তকলেজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দক্ষ খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই বাংলাদেশের ফুটবল তার অতীত গৌরবের জায়গায় দাঁড়াতে পারবে।

ব্রিটেনে সফররত সাবেক কৃতি ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ৫ মার্চ মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারে আসেন। গ্রেটার ম্যানচেস্টারের হাইড টাউনে আদনান'স বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে বেলা ১টায় তার সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন ইউকে'র পক্ষে সংস্থার চেয়ারম্যান, আবাহনী ক্রীড়াচক্র হকি দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় হকিদলের সাবেক খেলোয়াড় মিজানুর রহমান মিজান তাকে  লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ডে ভূষিত করে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।এরপর অতিথির হাতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে অভ্যর্থনা জানান কমিউনিটি নেতা নাসির খান সোয়েব ও সুব্রত সাহা। একান্ত আলাপচারিতায় আশরাফ উদ্দিন চুন্নু সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার গল্প এবং নিজস্ব খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা বিশদভাবে বর্ণনা করেন। সংবর্ধনাসভায় অতিথি'র উদ্দেশ্যে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান অধ্যাপক নূরুজ্জামান মনি।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ এমবিই, নাসির খান সোয়েব, সৈয়দ এজাজ আহমদ, সৈয়দ সাদেক আহমদ, হালিম চোধুরী, সুব্রত সাহা, আবদুল মুকিত চৌধুরী সিতু, আহমেদ হোসেন হেলাল,ফয়ছল কবির নিক্সন, আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ জুনেদ, সৈয়দ রাসেল, রূপচাঁদ দাস রূপক, ফয়ছল সৈয়দ, ফরহাদ জনি ও সাদ মিয়া প্রমুখ। ম্যানচেস্টারের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর অতিথিকে ম্যানচেস্টারের দর্শনীয় স্থানসমূহ ঘুরে ঘুরে দেখানো হয়। ম্যানচেস্টার সিটি'র ইত্তেহাদ ফুটবল গ্রাউন্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওল্ড ট্রাফোড ফুটবল গ্রাউন্ড এগুলোর অন্যতম।

বাংলাদেশের সোনালি যুগের কিংবদন্তি ফুটবলার তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এখানে এসে সত্যি আমি অভিভূত। আপনারা যে এখনো আমাদের মনে রেখেছেন, ভালোবাসেন এবং বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে আপনারা চিন্তা করেন, তাতে আমি উজ্জীবিত হয়েছি। আপনাদের এই বার্তা আমি বাংলাদেশের ফুটবলের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেবো। আমি যে ভালোবাসা ও সম্মান আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি, সেই আকর্ষণে আমি বারবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো।