৩টিতে আ.লীগ পেল চেয়ারম্যান, একটিতে বিএনপির নেতা
সিলেটের চারটিতে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী যারা
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটে সিলেটে চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের ফলাফলে ৩টিতে উপজেলায় আ.লীগ, একটিতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) রাতে ভোট গণনার পর রাতে রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘোষিত ফলাফলে সিলেট সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর কাদির শাফি এবং বিশ্বনাথ উপজেলায় জেলা বিএনপি সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত প্রাপ্ত ফলাফলে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ) ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকে সামসুল ইসলাম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওলিউর রহমান (টিয়াপাখী) পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮ ভোট। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. হাসিনা আক্তার। ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৯২ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দিলরুবা বেগম পদ্ম প্রতীকে ৩০ হাজার৫৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৯২১ জন। ভোট কেন্দ্র ৬২টিতে প্রদত্ত ৬৯ হাজার ৬৯৯টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ৬৬ হাজার ৭৮২টি। বাতিলকৃত ভোট ২৯১৭ টি। শতকরা ৩৮ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দক্ষিণ সুরমা: এ উপজেলায় মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন) ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোটরসাইকেল প্রতীকে মোহাম্মদ শামীম আহমদ ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো.মাহবুবুর রহমান ( মাইক ) ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফয়েজ আহমদ (তালা) পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইরিন আক্তার কলি । পদ্ম ফুল প্রতীকে ২০ হাজার ২৯৮ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোছা. ফাহিমা বেগম ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৯০ জন। মোট ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে প্রদত্ত ৫৯ হাজার ৫৬৫টি ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট ৫৭ হাজার ৮৯৩টি। বাতিলকৃত ভোট ১৬৭২টি। শতকরা ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে এ উপজেলায়।
গোলাপগঞ্জ: এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি (দোয়াত কলম) ৩৭হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকে আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট। এছাড়া ঘোড়া প্রতীকে শাহিদুর রহমান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. নাবেদ হুসেন (চশমা) ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. লবিবুর রহমান (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিনা আক্তার শীলা ফুটবল প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নার্গিস পারভীন কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ৫০৪ জন। উপজেলায় ১০৩টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোট ৮৪ হাজার ১৪৩টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ৮২ হাজার ৭৫৩টি। বাতিলকৃত ভোট ২ হাজার ১৪০টি। আর শতকরা ভোট পড়েছে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বিশ্বনাথ: এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ) ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।
আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবুর রহমান ছুইট (মাইক) ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. ইসলাম উদ্দিন (বই) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. করিমা বেগম। কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার১৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম সপনা সাহিন ১৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭ জন। ৭৪ টিতে কেন্দ্রে প্রদত্ত ৬০ হাজার ৪১৯টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ৫৮ হাজার ১৩৬টি এবং বাতিল হয়েছে ২ হাজার ২৮৩ টি। উপজেলায় শতকরা ৩২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।